‘সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ না হলে টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবে’

Passenger Voice    |    ০৪:৩৪ পিএম, ২০২৩-০৫-১৫


‘সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ না হলে টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবে’

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, আমাদের এখানে যে আইন রয়েছে সেটি সড়ক পরিবহনের আইন। এ আইনে তারা সড়ক নিরাপদের কোনও বিষয় উল্লেখ করেনি। ‘নিরাপত্তা’ শব্দটি যদি না থাকে তাহলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কীভাবে করা যাবে? 

সোমবার (১৫ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে সপ্তম জাতিসংঘ বৈশ্বিক নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজন করে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ১০টি সংগঠনের জোট রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। 

সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘের সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-৩০ স্বীকৃত নিরাপদ সড়কের জন্য বিবেচিত পাঁচটি অন্যতম স্তম্ভকে বিবেচনায় নিয়ে নিরাপদ সড়কের জন্য দ্রুত একটি আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের জন্য এ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা নিয়ে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে পরামর্শ করে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও আইনি কাঠামোতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ ধরনের যেসব ঘাটতি আমাদের আইন ও বিধিতে আছে তা পূরণ করা জরুরি। এসব আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশের সড়কগুলো অধিকতর নিরাপদ হয়ে উঠবে।’

রোড ক্রাশ সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত সংগ্রহের বৈজ্ঞানিক ও স্বীকৃত কোনও পদ্ধতি দেশে না থাকার কারণে প্রায়ই হতাহতের সংখ্যা ও তথ্য নিয়ে ভিন্নতা দেখা দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য ও উপাত্ত সঠিক উপায়ে সংগ্রহের জন্য বিশ্ব স্বীকৃত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালুর দাবি জানাই। এটি নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে সবাইকে সহযোগিতা করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সড়কে মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে পৃথক আইনি কাঠামো তৈরি, ন্যাশনাল রোড সেফটি অথোরিটি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন এবং সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সঠিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের একটি বৈজ্ঞানিক ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

প্রতি বছরের মতো এবারও জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বিশ্বব্যাপী রোড সেফটি সপ্তাহ পালন করছে। সোমবার (১৫ মে) থেকে শুরু করে আগামী ২১ মে পর্যন্ত বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোড সেফটি সপ্তাহ পালন করবে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই যাতায়াত’।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোড সেফটির প্রকল্প পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঞা ও বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এস বজলুর রহমানসহ রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের অন্যান্য সদস্যরা।

প্যা/ভ/ম